গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ধxxণের পর সেতু আক্তার নামের এক গৃহবধূকে হ’ত্যা করে লা’শ বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে যায় ১৬ বছরের কিশোর ভা’গ্নে।
বুধবার (২৬ মে) দুপুরে উপজেলার বাশাকৈর এলাকায় ওই সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে গৃহবধূর লা’শ উ’দ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নি’হতের বাবা আজহার সিকদার বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থা’নায় একটি মাম’লা দায়ের করেছে।
পুলিশ অ’ভিযুক্ত ভা’গ্নে, স্বামী রাসেল, মামাতো ভা’গ্নির স্বামী আরিফকে আট’ক করেছে। নি’হত গৃহবধূ সেতু আক্তার (১৯) কালিয়াকৈর উপজেলার বাশাকৈর এলাকার রাসেল হোসেনের স্ত্রী।
আট’ককৃতরা হলেন- টাঙ্গাইলের দেলদোয়ার থা’নার দুল্লাহ এলাকার এক কিশোর, একই জেলার মির্জাপুর থা’নার চানপুর এলাকার আব্দুল হকের ছেলে আরিফ হোসেন (২৫), কালিয়াকৈর উপজেলার কম্বলপাড়া এলাকার ছানোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল (২৪)।
জানা যায়, কালিয়াকৈরের কম্বলপাড়া এলাকার ছানোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল হোসেনের সঙ্গে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সিলিমনগর এলাকার আজাহার সিকদার মেয়ে সেতু আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এক পর্যায়ে পাশের ভাড়া বাসার কিশোর ভা’গ্নের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই গৃহবধূর। ওই কিশোর ও গৃহবধূ সেতু সম্পর্কে মামি ভা’গ্নে। এসব বি’ষয় নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে ছিল।
সর্বশেষ গত পাঁচ দিন আগে ঝগড়া করে স্বামী রাসেল ভাড়া বাসা থেকে বাবার বাড়ি কম্বলপাড়া চলে যান। গৃহবধূ সেতু একা থাকার খবর পেয়ে অ’ভিযুক্ত কিশোর গত সোমবার দুপুরে তার মামা রহুল আমিনের বাড়িতে আসে। রাতে ওই গৃহবধূকে ধxxণ করে কিশোর। এরপর মামি সেতু বি’ষয়টি সবাই জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে কাঠের টুকরো দিয়ে তাকে হ’ত্যা করে ভা’গ্নে। পরে গৃহবধূর লা’শ বাসার পাশে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেয়।
আজ বুধবার সকালে সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে গৃহবধূর লা’শ দেখে পুলিশে খবর কিশোরের মামা রুহুল আমিন। পুলিশ ট্যাংকের ভেতর থেকে নি’হতের লা’শ উ’দ্ধার করে ময়নাতদ’ন্তের জন্য গাজীপুর শ’হীদ তাজউদ্দিন আহম’দ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর’্গে পাঠায়।
কালিয়াকৈর থা’নার ভারপ্রা’প্ত কর্মক’র্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ওই গৃহবধূকে ধxxণের পর হ’ত্যা করে ভাড়া বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে নি’হতের লা’শ উ’দ্ধার করে মর’্গে প্রেরণ করা হয়েছে।